ভক্তি MCQ Quiz in বাংলা - Objective Question with Answer for Bhakti - বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন [PDF]

সঠিক উত্তরটি হ'ল বিকল্প 1, অর্থাৎ নয়নার ।

• নয়নারকে ভক্তি আন্দোলনে শৈববাদ বলা হয়।

• সপ্তম থেকে নবম শতাব্দীতে নয়ানার (শিবের অনুগত সাধক) এবং আলওয়ার (বিষ্ণুর অনুগত সাধক)-দের নেতৃত্বে নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের উত্থান হয়েছিল।

• তাঁরা পুলাইয়ার এবং পানারের মত "অস্পৃশ্য" হিসাবে বিবেচিত সকলপ্রকার জাতি থেকে এসেছিলেন।

• তাঁরা বৌদ্ধ এবং জৈনদের তীব্র সমালোচনা করেন এবং মুক্তির পথ হিসাবে শিব বা বিষ্ণুর প্রতি চরম ভক্তি/নিষ্ঠার প্রচার করেন।
• তাঁরা সঙ্গম সাহিত্য়ে (খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে রচিত তামিল সাহিত্যের প্রথম উদাহরণ) বর্ণিত প্রেম এবং বীরত্বের আদর্শকে গ্রহণ করেন এবং ভক্তির মূল্যবোধের সাথে সংযোজিত করেন।
• 63 জন নয়নার ছিল, তাদের মধ্যে অপ্পর, সম্বন্দর, সুন্দরার এবং মানিক্কাভসাগর সর্বাধিক পরিচিত নাম।
• সেখানে 12 জন আলওয়ার ছিলেন, যারা একইরকম ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠী সংক্রান্ত প্রেক্ষাপট থেকে এসেছিলেন, এঁদের মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত পেরিয়ালভর, তাঁর কন্যা আন্দাল, টন্ডারাদিপোদি আলভার এবং নাম্মালভর।
• তাঁদের গানগুলি দিব্যা প্রবণধামে সংকলিত হয়েছিল ।

মনে রাখার কৌশল - আপনি যদি আলওয়ারের "A" উল্টো করেন, আপনি V বা বিষ্ণু পান। সুতরাং আলওয়াররা বিষ্ণুর ভক্ত। অন্য পদটি শিব ভক্তদের জন্য নির্ধারিত হবে।

বোধিসত্ত্ব:

• যে ব্যক্তি বুদ্ধ হয়ে ওঠার জন্য জ্ঞানার্জনের(এনলাইটেনমেন্ট) পথে চলছে তাকে বোধিসত্ত্ব বলে উল্লেখ করা হয়।

ওয়ালী :

• সুফী, ওয়ালী, দরবেশ এবং ফকির পদগুলি মুসলিম সাধকগণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
• ওয়ালী এমন একজন সুফী ছিলেন যে ঈশ্বর বা আল্লাহর নিকটে পৌঁছানোর দাবি করেছিল।
• এঁরা সাধক ছিলেন যাঁরা তপস্যা, চিন্তন, ত্যাগ এবং আত্মবিস্মৃতির/আত্ম-অস্বীকারের মাধ্যমে তাদের স্বজ্ঞামূলক ক্ষমতা বিকাশের প্রচেষ্টা করেছিলেন।

সঠিক উত্তর হল বৈষ্ণব।

Key Points 

• চৈতন্য মহাপ্রভু হিন্দু ধর্মের বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন।
• তিনি গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যের একজন প্রবক্তা ছিলেন, যা ভগবান কৃষ্ণের প্রতি ভক্তির উপর জোর দেয়।
• 1486 খ্রিস্টাব্দে নবদ্বীপে (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ) জন্মগ্রহণ করেন, তিনি তাঁর অনুগামীদের দ্বারা ভগবান কৃষ্ণের অবতার হিসাবে বিবেচিত হন।
• চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা ঈশ্বরের পবিত্র নাম জপ, বিশেষ করে হরে কৃষ্ণ মন্ত্রের উপর নিবদ্ধ ছিল।
• তাঁর জীবন এবং শিক্ষা চৈতন্য চরিতামৃত এবং চৈতন্য ভাগবতের মতো গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।

Additional Information 

• বৈষ্ণব ধর্ম
  • এটি হিন্দু ধর্মের প্রধান ঐতিহ্যগুলির মধ্যে একটি যা বিষ্ণু এবং তাঁর অবতার, বিশেষ করে কৃষ্ণ এবং রামের পূজা করে।
  • ভগবদ্গীতা এবং পুরাণ, বিশেষ করে ভাগবত পুরাণ, মূল গ্রন্থ।
  • বৈষ্ণব ধর্ম ব্যক্তিগত ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির ধারণার উপর জোর দেয়।
• গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম
  • বৈষ্ণব ধর্মের একটি ঐতিহ্য যা 16শ শতাব্দীতে চৈতন্য মহাপ্রভু দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
  • রাধা ও কৃষ্ণের পূজা এবং হরে কৃষ্ণ মন্ত্র জপের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
  • মূল গ্রন্থগুলির মধ্যে বৃন্দাবনের ছয় গোস্বামীর কাজ অন্তর্ভুক্ত।
• চৈতন্য চরিতামৃত
  • 16শ শতাব্দীতে কৃষ্ণদাস কবিরাজ কর্তৃক রচিত একটি হ্যাগিওগ্রাফিক কাজ।
  • এটি চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন ও শিক্ষার বিবরণ দেয়।
  • গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যে একটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত।
• হরে কৃষ্ণ মন্ত্র
  • কালি-সন্তরণ উপনিষদে পাওয়া একটি 16-শব্দের বৈষ্ণব মন্ত্র।
  • এটি কৃষ্ণ ও রামের নাম দ্বারা গঠিত।
  • মন্ত্র জপ আধ্যাত্মিক মুক্তি এবং ঈশ্বরের সাথে সংযোগ লাভের একটি উপায়।

সঠিক উত্তর হল হরিদাস ঠাকুরKey Points

• পূর্ববঙ্গে, হরিদাস ঠাকুর চণ্ডাল কৃষকদের মধ্যে কাজ করেছিলেন।
• হরিদাস ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত মাতুয়া সম্প্রদায়, ব্রাহ্মণ্য গ্রন্থে প্রতিষ্ঠিত জাতিব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে চণ্ডাল কৃষকদের মতো সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলির উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিল।
• মাতুয়া আন্দোলন প্রাথমিকভাবে বর্তমানে বাংলাদেশের অংশ এলাকায় উত্থাপিত হয়েছিল।
• সম্প্রদায়টি উচ্চবর্ণের জাতিব্যবস্থার আধিপত্য, বিশেষ করে ব্রাহ্মণ্য প্রথা, চ্যালেঞ্জ করেছিল।

Additional Information

সঠিক উত্তর হল কৃষ্ণ ও রাধা।

Key Points

• হাঁস সম্প্রদায় প্রধানত ভগবান কৃষ্ণ ও রাধাকে তাদের প্রধান দেবতা হিসেবে পূজা করে।
• ভগবান কৃষ্ণ হিন্দুধর্মের একজন কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব, যিনি ভগবদ্গীতায় তাঁর শিক্ষা এবং মহাভারতে তাঁর ভূমিকার জন্য পরিচিত।
• রাধা, যিনি প্রায়ই পরম দেবী হিসেবে বিবেচিত হন, কৃষ্ণের সঙ্গিনী হিসেবে সম্মানিত এবং ভক্তি ও প্রেমের প্রতীক।
• কৃষ্ণ ও রাধার পূজায় ভক্তি গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি হিন্দুধর্মের বৈষ্ণব ধর্মের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Additional Information

• ভগবান শিব
  • শিব, যিনি মহাদেব নামেও পরিচিত, হিন্দুধর্মের প্রধান দেবতা, ত্রিমূর্তির মধ্যে "বিধ্বংসী" হিসেবে পরিচিত, হিন্দু ত্রিমূর্তি যার মধ্যে ব্রহ্মা এবং বিষ্ণু রয়েছে।
  • তাকে শৈবধর্মে, হিন্দুধর্মের প্রধান ধর্মের একটিতে, পরম ঈশ্বর হিসেবে পূজা করা হয়।
  • শিবকে প্রায়শই কপালে তৃতীয় নয়ন, গলায় সাপ এবং হাতে ত্রিশূল নিয়ে চিত্রিত করা হয়।
• রাম ও সীতা
  • রাম ঈশ্বর বিষ্ণুর সপ্তম অবতার, এবং সীতা তার স্ত্রী, যিনি ধন ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীর অবতার হিসেবে সম্মানিত।
  • রাম ও সীতার গল্প প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণে বর্ণিত, যা রামের রাক্ষস রাজা রাবণের কাছ থেকে সীতাকে উদ্ধার করার প্রচেষ্টা চিত্রিত করে।
  • তাদের কাহিনী দীপাবলি এবং নবরাত্রি যেসব হিন্দু উৎসব পালিত হয়।
• ইন্দ্র
  • ইন্দ্র হিন্দুধর্মে একজন বৈদিক দেবতা, বৌদ্ধধর্মে একজন রক্ষক দেবতা এবং জৈনধর্মে সৌধর্মকল্প নামক সর্বোচ্চ স্বর্গের রাজা।
  • তিনি স্বর্গ, বিদ্যুৎ, বজ্রপাত, ঝড়, বৃষ্টি, নদীর প্রবাহ এবং যুদ্ধের দেবতা।
  • ইন্দ্রকে ঋগ্বেদের অসংখ্য স্তোত্রে উদযাপন করা হয়েছে, যা প্রাচীন ভারতীয় বৈদিক সংস্কৃত স্তোত্রের একটি সংগ্রহ।

সঠিক উত্তরটি হ'ল বিকল্প 1, অর্থাৎ নয়নার ।

• নয়নারকে ভক্তি আন্দোলনে শৈববাদ বলা হয়।

• সপ্তম থেকে নবম শতাব্দীতে নয়ানার (শিবের অনুগত সাধক) এবং আলওয়ার (বিষ্ণুর অনুগত সাধক)-দের নেতৃত্বে নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের উত্থান হয়েছিল।

• তাঁরা পুলাইয়ার এবং পানারের মত "অস্পৃশ্য" হিসাবে বিবেচিত সকলপ্রকার জাতি থেকে এসেছিলেন।

• তাঁরা বৌদ্ধ এবং জৈনদের তীব্র সমালোচনা করেন এবং মুক্তির পথ হিসাবে শিব বা বিষ্ণুর প্রতি চরম ভক্তি/নিষ্ঠার প্রচার করেন।
• তাঁরা সঙ্গম সাহিত্য়ে (খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে রচিত তামিল সাহিত্যের প্রথম উদাহরণ) বর্ণিত প্রেম এবং বীরত্বের আদর্শকে গ্রহণ করেন এবং ভক্তির মূল্যবোধের সাথে সংযোজিত করেন।
• 63 জন নয়নার ছিল, তাদের মধ্যে অপ্পর, সম্বন্দর, সুন্দরার এবং মানিক্কাভসাগর সর্বাধিক পরিচিত নাম।
• সেখানে 12 জন আলওয়ার ছিলেন, যারা একইরকম ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠী সংক্রান্ত প্রেক্ষাপট থেকে এসেছিলেন, এঁদের মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত পেরিয়ালভর, তাঁর কন্যা আন্দাল, টন্ডারাদিপোদি আলভার এবং নাম্মালভর।
• তাঁদের গানগুলি দিব্যা প্রবণধামে সংকলিত হয়েছিল ।

মনে রাখার কৌশল - আপনি যদি আলওয়ারের "A" উল্টো করেন, আপনি V বা বিষ্ণু পান। সুতরাং আলওয়াররা বিষ্ণুর ভক্ত। অন্য পদটি শিব ভক্তদের জন্য নির্ধারিত হবে।

বোধিসত্ত্ব:

• যে ব্যক্তি বুদ্ধ হয়ে ওঠার জন্য জ্ঞানার্জনের(এনলাইটেনমেন্ট) পথে চলছে তাকে বোধিসত্ত্ব বলে উল্লেখ করা হয়।

ওয়ালী :

• সুফী, ওয়ালী, দরবেশ এবং ফকির পদগুলি মুসলিম সাধকগণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
• ওয়ালী এমন একজন সুফী ছিলেন যে ঈশ্বর বা আল্লাহর নিকটে পৌঁছানোর দাবি করেছিল।
• এঁরা সাধক ছিলেন যাঁরা তপস্যা, চিন্তন, ত্যাগ এবং আত্মবিস্মৃতির/আত্ম-অস্বীকারের মাধ্যমে তাদের স্বজ্ঞামূলক ক্ষমতা বিকাশের প্রচেষ্টা করেছিলেন।

সঠিক উত্তরটি হল রামানুজাচার্য ।

• প্রথম ভক্তি আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন রামানুজাচার্য।

Key Points

• ভক্তি আন্দোলন
  • ভক্তি আন্দোলন সপ্তম শতাব্দীতে দক্ষিণ ভারতের তামিল (বর্তমানে তামিলনাড়ু এবং কেরালার কিছু অংশ) উদ্ভূত হয়েছিল এবং উত্তর দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল।
  • এটি 15 শতক থেকে পূর্ব এবং উত্তর ভারত জুড়ে বিস্তৃত হয়েছিল এবং 15 এবং 17 শতকের বর্তমান যুগের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছেছিল।
  • প্রথম ভক্তি আন্দোলনের সূত্রপাত রামানুজাচার্য করেছিলেন।
    • তিনি বিশিষ্টাদ্বৈত দর্শনের একজন প্রবক্তা ছিলেন।
• দেশের বিভিন্ন স্থানে ভক্তি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা:

Additional Information

• গুরু নানক ভারতে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
  • তিনি নিরাকার ঈশ্বরের নাম দিয়েছেন অকাল পুরুষ।
  • তাঁর শিক্ষা আদি-গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
• মীরাবাঈ তাঁর সঙ্গীত দ্বারা ভক্তি আন্দোলনের একজন অবদানকারী ছিলেন।
• রামদাস ভক্তি আন্দোলনে ভক্তি যোগের একজন প্রবক্তা ছিলেন।

সঠিক উত্তরটি হলো মীরাবাই।

Key Points

• মীরাবাইকে বলা হয় "রাজস্থানের রাধা" এবং তাঁর গুরুর নাম ছিল রাইদাস।
• মীরাবাই 1498 সালে রাজস্থানের পালির কুকরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
• মীরাবাই তাঁর কৃষ্ণভক্তির জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর মুখ্য অবদান হলো "মীরা পদাবলী"।
• মীরাবাই "দাসী সম্প্রদায়ের" প্রতিষ্ঠাতা।
• মীরাবাইয়ের বাবার নাম ছিল রতন সিং রাঠোর।
• মহাত্মা গান্ধী মীরাবাইকে "প্রথম সত্যাগ্রহী নারী" নামে অভিহিত করেন।
• গাভরী দেবী 1920 সালে যোধপুর রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি "বানগড়ের মীরা" নামে পরিচিত ছিলেন।
• সামনবাই আলওয়ারের মাহুন্দ গ্রামের অধিবাসী ভক্ত রামনাথের কন্যা ছিলেন।
• তিনি রাধা ও কৃষ্ণকে নিয়ে মুক্তকাব্য রচনা করতেন।
• "কারমাথি বাই" ছিলেন বানগড় অঞ্চলের পুরোহিতপুরের কাথারিয়া পুরুষোত্তমের কন্যা।
• তিনি আকবরের সমসাময়িক ছিলেন এবং তাঁর জীবনের বেশি সময়টাই বৃন্দাবনে কাটিয়েছেন।

সঠিক উত্তর শিব।

• নয়নাররা শিবের ভক্ত ছিলেন।
• আলভাররা ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত
• ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষ অবধি বৈষ্ণবীয় আন্দোলন একটি শক্তিশালী আন্দোলন হিসাবে দক্ষিণ ভারতে রাজত্ব করেছিল।
• আলভাররা যেসব গান গাইতেন তার সংগ্রহের নাম ছিল প্রভানদাস।
• জৈন ধর্মের দিগম্বর গোষ্ঠীর অধীনস্থ মহিলা ভিক্ষুদের আর্যিকা বলা হয়।

সঠিক উত্তরটি আলভার্স ।

• সগুণা ভক্তি বলতে অবয়বযুক্ত ঈশ্বরকে ভক্তি ও প্রার্থনা বোঝায় যেখানে নির্গুণা ভক্তি বিনা অবয়বযুক্ত ঈশ্বরকে ভক্তি ও প্রার্থনা বোঝায়।
• নয়নার ও আলভাররা হলেন তামিল কবি-সাধুগণ, যারা দক্ষিণ ভারতে ভক্তি আন্দোলন প্রচারে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
  • নয়নাররা হলেন শিবের অনুগত ভক্তদের দল এবং আলভাররা ছিলেন সন্তদের দল যারা ভগবান বিষ্ণু, বৈষ্ণভ ভক্তির প্রতি অনুগত ছিলেন।

•  নয়নার ও আলভাররা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতেন ও যে গ্রামগুলিতে যেতেন সেখানে প্রতিষ্ঠিত দেবতাদের প্রশংসা করে সুন্দর কবিতা রচনা করেছেন এবং তাদের সংগীতায়িত করেছেন।
• 63 জন নয়নার ছিলেন, যারা কুমোর, "অস্পৃশ্য" শ্রমিক, কৃষক, শিকারী, সৈনিক, ব্রাহ্মণ ও প্রধানদের মতো বিভিন্ন জাতের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
• তাদের মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন অপার, সংবন্দর, সুন্দরার এবং মানিক্কাভাসাগার। তাদের গানের সংকলনের দুটি সেট রয়েছে - তেভরাম এবং তিরুবাকাম।
• 12 জন আলভার ছিলেন, যারা সমান বিচ্ছিন্ন পরিবেশ থেকে এসেছিলেন, যার মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন পেরিয়ালভর, তাঁর কন্যা আন্দাল, টন্ডারাদিপোদি আলভার এবং নামমালভর।দিব্যা প্রবণধমে তাদের গানগুলি সংকলিত হয়েছিল।

সঠিক উত্তর জাহাঙ্গীর।

Key Points 

• তুকারাম 1608 সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং 1649 সালে মারা যান , যেখানে জাহাঙ্গীর 1605 থেকে 1627 পর্যন্ত শাসন করেন।
• এর মানে জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে তুকারাম জীবিত ও সক্রিয় ছিলেন।
• তুকারাম ছিলেন একজন মারাঠি ভক্তি কবি এবং ভগবান কৃষ্ণের ভক্ত।
• তাকে ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা ছিল একটি হিন্দু ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন যা ঈশ্বরের প্রতি ব্যক্তিগত ভক্তির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিল।
• তুকারামের শিক্ষা ও কবিতা খুবই জনপ্রিয় ছিল এবং তারা মহারাষ্ট্র জুড়ে ভক্তি আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছিল।
• জাহাঙ্গীর ছিলেন চতুর্থ মুঘল সম্রাট।
• তিনি শিল্প, সাহিত্য এবং সঙ্গীতে তার আগ্রহের জন্য পরিচিত ছিলেন।
• তিনি একজন সহনশীল শাসকও ছিলেন এবং তিনি হিন্দুদের স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
• এটি তাকে মহারাষ্ট্রের হিন্দুদের মধ্যে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল এবং সম্ভবত তিনি তুকারামের শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।
• তুকারাম ও জাহাঙ্গীরের কোনো এক সময়ে দেখা হয়ে থাকতে পারে।
• তবে এই বৈঠকের কোনো ঐতিহাসিক নথি নেই।

• তা সত্ত্বেও, তুকারাম যে জাহাঙ্গীরের সমসাময়িক ছিলেন তা তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি দেখায় যে মুঘল আমলে ভক্তি আন্দোলন বিকাশ লাভ করেছিল।

তাহলে সঠিক উত্তর জাহাঙ্গীর

সঠিক উত্তর লিঙ্গায়াত 

• কর্ণাটকে যে বাসভান্নার আন্দোলনের নেতৃত্ব ছিল তাদের অনুসারীদের লিঙ্গায়াত বলা হত। 

• বাসভান্নার লিঙ্গায়াতবাদের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতি প্রথার অনুশীলনের কঠোর বিরোধী ছিলেন।
• লিঙ্গায়াতরা বিশ্বাস করতেন যে পুনর্জন্ম নেই এবং মৃত্যুর পরে ভক্তরা শিবের সাথে পুনরায় মিলিত হন আর কখনও পৃথিবীতে ফিরে আসেন না।
• সুতরাং কন্নড় অঞ্চলের লিঙ্গায়াতরা পুনর্জন্মের তত্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন এবং বর্ণের শ্রেণিবিন্যাসকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
• যে ব্যক্তি কর্ণাটকে নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি ছিলেন বাসভান্না।
  • তাঁর অনুগামীরা বীরশৈব (শিবের বীর) বা লিঙ্গায়াত (লিঙ্গ পরিধানকারী) নামে পরিচিত ছিলেন।

সঠিক উত্তর হল আলভারস।Key Points

• আলভারসকে পঞ্চম শতাব্দীতে ভক্তি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
• তামিলনাড়ুর আলভারস এবং নয়নাররা সর্বপ্রথম বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে ভক্তি আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং তাদের নিজ নিজ দেবতার স্তোত্র গেয়েছিলেন।
• তারা বিশ্বাস করে যে ভক্ত যে কোনও বর্ণের হতে পারে, যে কোনও সামাজিক পটভূমির হতে পারে।

বিঃদ্রঃ- 

ঈশ্বরকে স্মরণ করার সংক্ষিপ্ত কৌশল।

• নয়নারস- শিবজীর তৃতীয় চোখ আছে। নয়ন হল `চোখ' এর প্রতিশব্দ তাই নয়নরা - শিব এবং আলভারস - বিষ্ণু।

সঠিক উত্তর হল তুকারাম।

Key Points

• তুকারাম ছিলেন মহারাষ্ট্রের ভক্তি আন্দোলনের 17 শতকের একজন হিন্দু কবি ও সন্ত।
• তিনি জনপ্রিয়ভাবে মহারাষ্ট্রে তুকা, তুকোবারায়, তুকোবা নামে পরিচিত।
• তিনি শিবাজীর সমসাময়িক ছিলেন।
• তিনি বর্করী ভক্তিপরায়ণতার ঐতিহ্যের অনুসারী ছিলেন, যা ছিল সমতাবাদী এবং ব্যক্তিগত।
• তিনি তার আভ্যঙ্গ (ভক্তিমূলক কবিতা) এবং কীর্তন (আধ্যাত্মিক গানের সাথে সম্প্রদায়ভিত্তিক উপাসনা) এর জন্য সর্বাধিক খ্যাত।
• এলিনর জেলিওটের মতে, তুকারামের মতো ভক্তি আন্দোলনের কবিরা শিবাজীর ক্ষমতায় আরোহণে প্রভাব ফেলেছিলেন।
• 41 বছর বয়সে 1649 সালে তিনি মারা যান।

Additional Information 

• চৈতন্য মহাপ্রভু ছিলেন 15 শতকের একজন ভারতীয় সন্ত।
  • তিনি অচিন্ত্য ভেদাভেদ তত্ত্বের বৈদান্তিক দর্শনের প্রধান প্রবক্তা ছিলেন।
• নামদেব ছিলেন মহারাষ্ট্রের নারসি থেকে আসা একজন মারাঠি হিন্দু কবি ও সন্ত।
  • তিনি পাণ্ডুপুরের ভগবান বিঠল (কৃষ্ণ) এর ভক্ত হিসেবে জীবনযাপন করেছিলেন।
• শঙ্করাচার্য আদর্শ বৈদান্তিক দর্শনের সবচেয়ে খ্যাতিমান প্রবক্তা ছিলেন, যার তত্ত্ব থেকে আধুনিক ভারতীয় চিন্তার প্রধান প্রবাহ উদ্ভূত হয়েছে।

সঠিক উত্তরটি বল্লভাচার্য ।

• পুষ্টিমার্গ শ্রদ্ধার সঙ্গে কৃষ্ণ পূজার এক রূপবিশেষ ।
  • শ্রী বল্লভাচার্য (1479–1531 খ্রিস্টাব্দ) নামক জনৈক তেলুগু বৈদিকী ব্রাহ্মণ এই তত্ত্বের প্রবর্তক ছিলেন ।
  • তিনি শুদ্ধ-অদ্বৈত বা পরম/বিশুদ্ধ অদ্বৈতের প্রবর্তকও ছিলেন।
  • বল্লভাচার্য বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সম্রাট শ্রী কৃষ্ণদেব রায়ের সমসাময়িক ছিলেন এবং দ্বৈত ও অদ্বৈত দর্শনের গুণ ও অবগুণের বিষয় নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কে অংশ নিতে তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়েছিলেন ।
  • কিংবদন্তি অনুসারে তিনি তর্কযুদ্ধে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হন এবং সম্রাট তাঁকে সম্মানিত করেন।

• পুষ্টিমার্গ হ'ল ভক্তির পথ , যা ভগবদ্গীতাতে মুক্তি অর্জনের প্রত্যক্ষ ও সহজ পদ্ধতিরূপে উল্লেখিত।
  • এটি পুষ্টি ভক্তিকে কেন্দ্র করে প্রবর্তিত হয়। পুষ্টির অর্থ পুষ্টি(পোষণলাভ) এবং ভক্তির অর্থ নিষ্ঠা।
  • পুষ্টি ভক্তি অর্থাৎ পরম দেবতা ভগবান কৃষ্ণের ভক্তি ও নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে আত্মাকে ঐশ্বরিক প্রেম এবং সুখের সাথে পুষ্ট করে তোলা।
  • বল্লভাচার্য তাঁর বৃন্দাবনে তীর্থযাত্রার সময় এই মার্গের প্রস্তাব করেছিলেন বলে জানা যায়।
  • তিনি যখন সেখানে অবস্থান করছিলেন, ভগবান কৃষ্ণের শ্রীনাথজি রূপে দর্শন পান যিনি তাঁর কাছে পরমব্রহ্মের সাথে ঐশ্বরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উপায় সম্পর্কে একটি পবিত্র মন্ত্র প্রদান করেছিলেন, যা পুষ্টিমার্গের ভিত্তি রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়।
• পথটি ব্রাহ্মণ বা ব্রহ্মকে কোনও রকম সন্দেহ ব্যতীত এক ও অদ্বিতীয়, চূড়ান্ত এবং পরম বাস্তব হিসাবে স্বীকৃতি দেয় (একমেবাদ্বিতীয়ম ব্রহ্ম)।
  • এখানে যে সমস্ত কিছু রয়েছে তা কেবল ব্রহ্ম (সর্বম খালু ইদম ব্রহ্ম)। তিনি  এবং ভগবদগীতা এবং ভগবতমের পরমেশ্বর একই।
  • তাঁর কাছে পৌঁছানোর একমাত্র পথ হ'ল শ্রীকৃষ্ণের প্রতি নিবিড় নিষ্ঠা, যিনি সচ্চিদানন্দ পুরুষোত্তম পরমব্রহ্ম (সর্বদা সুখী, সেরা ব্যক্তি এবং পরম ব্রহ্ম)।
  • শ্রীকৃষ্ণের, বিশেষত তাঁর বাল্যরূপগুলির প্রতি ভক্তি, সেবা (সেবাভাব) -এর মাধ্যমে ও তীব্র ভালবাসার সাথে অনুশীলন করা উচিত।
  • পুষ্টিমার্গের প্রাথমিক উদ্দেশ্য মুক্তি নয়, ভগবান কৃষ্ণের প্রতি ভালবাসা এবং পরিতোষকে অনুভব করা এবং কৃষ্ণরূপকে কোনও দ্বৈততা ছাড়াই নিজের অন্তরের মধ্যে উপলব্ধি করা।